
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় তৈলবীজ জাতীয় ফসল বৃদ্ধি প্রকল্পের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউপিতে আয়োজন করা হয় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক পি.পি. মেহেদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ শায়লা সারমিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্দা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সীমা কর্মকার এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাই মিনুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রীঃ নন্দন কুমার সরকার,আব্দুল লতিফ,মোঃ নজরুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ১৪নং বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম গোলাম আজম ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং সফল কৃষক মোঃ আজিবর রহমানসহ কৃষক-কৃষাণীরা।
প্রধান অতিথি নওগাঁ জেলা খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক পি.পি. মেহেদুল ইসলাম বলেন, “তৈলবীজ জাতীয় ফসলের চাষাবাদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। সরকার কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সার ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে, যাতে কৃষকরা আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশকে কৃষিতে আত্মনির্ভরশীল করতে হলে তৈলবীজসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। কৃষকদের উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছেন, যা কৃষির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
সফল কৃষকদের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণ ও সঠিক পরিচর্যা পেলে কৃষকরা অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারেন। তাই সরকারি দিকনির্দেশনা ও প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ শায়লা সারমিন বলেন, “তৈলবীজ জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সঠিক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সার ও প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে সরকার। সঠিক সময়ে পরিচর্যা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করলে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। কৃষকদের যে কোনো সহযোগিতায় কৃষি বিভাগ সবসময় পাশে রয়েছে।”
বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম. গোলাম আজম বলেন, “কৃষি শুধু পেশা নয়, এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি। তৈলবীজ জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব, যাতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। কৃষকরা দেশের চালিকাশক্তি, তাদের উন্নয়নে সরকার যে সহায়তা দিচ্ছে, তা সঠিকভাবে কাজে লাগালে কৃষিক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।”