
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত স্কুল ব্যাগ বিতরণ না করে গোপনে মজুদ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দরিদ্রদের মধ্যে সেলাই মেশিন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ব্যাগ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লাপাড়ার ঠিকাদার মো. ফয়সাল কাদের রুমিকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪,২০,০০০/- টাকা।
প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত ৩০টি সেলাই মেশিন নির্ধারিত সময়ের পর বিতরণ করা হলেও, বরাদ্দকৃত স্কুল ব্যাগ এখনো বিতরণ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাগগুলো মজুদ করে রেখেছেন।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী রনিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, প্রথমে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তিনি দাবি করেন যে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তালিকা দিতে দেরি করায় ব্যাগ বিতরণ সম্ভব হয়নি।
তবে প্রকল্পের এস ও সার্ভেয়ার আলমগীর হোসেন জানান, মৌখিকভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম শাহাদত হোসেনকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। অপরদিকে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম শাহাদত হোসেন স্পষ্টভাবে জানান যে, আজকের আগে তাকে কেউ কিছু জানায়নি।
বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান প্রকল্পের এস ও সার্ভেয়ার আলমগীর হোসেনের অফিস কক্ষ থেকে দুটি এবং ট্রাংকে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকা আরও ৮১টি স্কুল ব্যাগ জব্দ করেন। পরে তিনি সেগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম শাহাদত হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনির বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে – ইচ্ছামতো দেরি করে অফিসে আসা, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি, এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা। এসব অভিযোগ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, গত অর্থবছরেই ব্যাগগুলো বিতরণ করার কথা ছিল, কিন্তু কেন তা করা হয়নি তা জানা নেই। এবিষয়ে প্রকৌশলী রনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।