মো: সবুজ হোসেন রাজা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিনেট সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, বাংলাদেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না। গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের ভেতরে-বাইরে থাকা ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী শাহজাদপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আল্লাহর আইন ও সৎ-ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব চায়। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি একসময় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ তারাই জনগণের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির সব বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ নতুন স্বাধীনতা, নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে, যা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঠুস করে ভাষণ দেওয়ার শখ জাগে পালিয়ে যাওয়ার পর! হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে ফিরে আসার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি আসতেই হয়, তবে ফাঁসির আসামি হয়ে আসতে হবে।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাহজাদপুর উপজেলা আমীর ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক মাওলানা মোঃ শাহীনুর আলম, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা শাখার আমীর মোঃ আরিফুল ইসলাম সোহেল, উল্লাপাড়া উপজেলার আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলী, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাষ্টার মাওলানা মোঃ আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন-এর উপজেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফরহাদ হোসেন।

গণসমাবেশ শেষে জামায়াত নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে বিশাল একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর এলাকার উপজেলা পরিষদ চত্বর হয়ে সরকারি পাইলট মডেল হাইস্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়, জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।