ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগ 01714455681

চবিতে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহর সঞ্চালনায় চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, চবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও চবির সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা চারটি বিষয়বস্তুর উপর দলগতভাবে তাদের মতামত প্রদান করে। চারটি আলোচ্যসূচী হলো: চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূতত্ত্ব বিষয়ক প্রভাব। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় কারিগরি ও প্রকৌশল সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনা। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনা। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় শাসন, নীতি বাস্তবায়ন ও জনসচেতন বিষয়ক পর্যালোচনা।

চবির সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক বলেন, আমাদের সমাজব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা যে পড়াশোনা করে তা পিতামাতার আগ্রহের ভিত্তিতে করে থাকে। শিক্ষার্থীর নিজেদের আগ্রহে পড়াশোনা করে না। আমার মনে হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার আঙ্গিনার বাহিরে গিয়ে মানুষের সুখে দুখে পাশে ছিল এটাই প্রথম। জলাবদ্ধতা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা পালন করছে এটা খুবই প্রসংশনীয়। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র কমিনিউকেশনের মাধ্যমে হবে না। এতে প্রত্যেকের জায়গা থেকে যেটুকু অবদান রাখা যায় সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।

চবির উপ-উপাচার্য উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা একটা টেকনিক্যাল সমস্যা এখানে প্রশাসনিক কাজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আজ আপনাদের সাথে বসার কারণ হলো সকলের মতের ভিত্তিতে একটা গাইডলাইন তৈরি করা। সকলের সহযোগী এবং পরামর্শের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করতে আমরা চেষ্টা করবো।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে কাউকে ভাবতে হয়না আমরা সেই পরিবেশ তৈরি করেছি। দখলদারিত্ব ব্যবস্থাকে মোকাবিলা করতে পেরেছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টা কে বলেছি আপনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, আমরা আপনাকে সম্মানের সাথে সমাবর্তনে নিয়ে যেতে চাই। ওনি আমাদের সমাবর্তনে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু ক্যাম্পাসে থাকে না কেউ ষোলশহর, মুরাদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় থাকে। আমরা এই জলাবদ্ধতা মোকাবিলা করতে ভয় পাইনা। পুরো বাংলাদেশের জলাবদ্ধতা মোকাবিলা করতে আমরা পারবো। আপনাদের মতামত এবং পরামর্শের ভিত্তিতে একটা গাইডলাইন তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টা কে প্রদান করবো।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চবিতে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০২:০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহর সঞ্চালনায় চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, চবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও চবির সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা চারটি বিষয়বস্তুর উপর দলগতভাবে তাদের মতামত প্রদান করে। চারটি আলোচ্যসূচী হলো: চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূতত্ত্ব বিষয়ক প্রভাব। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় কারিগরি ও প্রকৌশল সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনা। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনা। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় শাসন, নীতি বাস্তবায়ন ও জনসচেতন বিষয়ক পর্যালোচনা।

চবির সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক বলেন, আমাদের সমাজব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা যে পড়াশোনা করে তা পিতামাতার আগ্রহের ভিত্তিতে করে থাকে। শিক্ষার্থীর নিজেদের আগ্রহে পড়াশোনা করে না। আমার মনে হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার আঙ্গিনার বাহিরে গিয়ে মানুষের সুখে দুখে পাশে ছিল এটাই প্রথম। জলাবদ্ধতা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা পালন করছে এটা খুবই প্রসংশনীয়। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র কমিনিউকেশনের মাধ্যমে হবে না। এতে প্রত্যেকের জায়গা থেকে যেটুকু অবদান রাখা যায় সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।

চবির উপ-উপাচার্য উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা একটা টেকনিক্যাল সমস্যা এখানে প্রশাসনিক কাজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আজ আপনাদের সাথে বসার কারণ হলো সকলের মতের ভিত্তিতে একটা গাইডলাইন তৈরি করা। সকলের সহযোগী এবং পরামর্শের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করতে আমরা চেষ্টা করবো।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে কাউকে ভাবতে হয়না আমরা সেই পরিবেশ তৈরি করেছি। দখলদারিত্ব ব্যবস্থাকে মোকাবিলা করতে পেরেছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টা কে বলেছি আপনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, আমরা আপনাকে সম্মানের সাথে সমাবর্তনে নিয়ে যেতে চাই। ওনি আমাদের সমাবর্তনে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু ক্যাম্পাসে থাকে না কেউ ষোলশহর, মুরাদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় থাকে। আমরা এই জলাবদ্ধতা মোকাবিলা করতে ভয় পাইনা। পুরো বাংলাদেশের জলাবদ্ধতা মোকাবিলা করতে আমরা পারবো। আপনাদের মতামত এবং পরামর্শের ভিত্তিতে একটা গাইডলাইন তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টা কে প্রদান করবো।